প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৮ বছর পার করেছি দুই যুগ আগে। ১৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ফেসবুকে একটা গ্রুপ খোলা হয়েছে, কেউ আমাকে সেখানে যুক্ত করেছে। নানান জনের স্মৃতিচারণ পোস্ট দেখি। বহু পুরোনো দিনের একেকটা ছবি আসে আর বুকের ভেতর স্মৃতিগুলো নাড়া খেতে থাকে। সবচেয়ে বেশী নাড়া দেয়া ছবি পেয়েছি যার অ্যালবামে তাঁকে আমি চিনি না। তৌকির আহমেদ মাসুদের তোলা অসাধারণ কিছু ছবি শেয়ারে পাওয়ার সুবাধে নামিয়ে নিলাম মুগ্ধতার সাথে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় যুগে একটি ছবিও তুলিনি ভাবলে এই সময় অবাক লাগে। কিন্তু এটাও ঠিক সেই সময়ে ক্যামেরা এত সহজলভ্য কিছু ছিল না। আমার নিজের একটি Ricoh ক্যামেরা ছিল বাবার দেয়া, কিন্তু তা কাপ্তাই লেকে ডুব দিয়ে আর প্রাণ ফিরে পায়নি। এখন বাধ্য হয়ে অন্যের তোলা ছবিতেই ডুব দেই। অতীত কালের চেহারার বিশ্ববিদ্যালয় আর নেই, কিন্তু যে কয়েকটি অংশ এখনো আগের চেহারায় আছে তার কয়েকটি ছবি রাখলাম এখানে।
|
কাটা পাহাড় - নতুন চেহারায় |
বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে ক্যাম্পাসে যাবার এই পথটির নাম কাটা পাহাড়। এই পথের এই সবুজ সজীব চেহারার বয়স বছর দশেকের বেশী নয়। এই পাহাড়ের আদিরূপ কেমন ছিল তা বোঝার জন্য অন্য একটি ছবি দেখতে হবে। নীচের ছবিটি আমাদের যুগে তোলা। কাটা পাহাড়ে ঢুকলে মনে হতো রাজস্থানের মরু অঞ্চলে ঢুকে পড়েছি। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে অজানা পাখির বাসা। কখনো নাম জানা হয়নি তাদের। নীচের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ তম ব্যাচের নাহিদা রহমান মালা আপুর কাছ থেকে।
|
কাটা পাহাড়-আদি রূপে |
|
বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেনের আনন্দ যাত্রা |
|
বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশান |
|
বাসের রাস্তা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথ |
|
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ের মধ্যেই এই সুন্দর ঝর্ণাটি আছে |
|
ক্যাম্পাসের কোন কোন পাহাড়ে মায়া হরিনেরা বাস করে |
No comments:
Post a Comment