Friday, November 27, 2015

ওয়াসফিয়ার সেভেন সামিট

ওয়াসফিয়া নাজরীন অবশেষে সেভেন সামিটের টার্গেট পূর্ণ করেছে ইন্দোনেশিয়ার দুর্গমতম কার্সটেসন পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয় করার মাধ্যমে। কয়েক বছর আগে যখন ওয়াসফিয়ার সাথে দেখা হয় বিশদ বাঙলার অনুষ্ঠানে, তখন মেয়েটির দুঃসাহসী আত্মবিশ্বাস অবাক করেছিল। অবশেষে পেরেছে সে। অভিনন্দন ওয়াসফিয়া! এর আগে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এডভেঞ্চার অব দ্য ইয়ারে সেরা একটিভিস্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল ওয়াসফিয়া।
http://adventure.nationalgeographic.com/adventure/adventurers-of-the-year/2015/wasfia-nazreen/

পড়া যাক বিবিসির আরেকটু বিস্তারিত সংবাদ বিবরণ:
------------------------------------------------------------------------
ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কার্সটেসন পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয় করলেন পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরিন।

সেখান থেকে যে তিনি ফিরে আসতে পারবেন সে কথা কল্পনাও করতে পারেননি।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের এই পর্বতারোহী।

ওয়াসফিয়ার বর্ণনায় হিমালয়ের চেয়েও জটিল এবং কঠিন এই কার্সটেসন পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয় করা।

তিনি বলেন, পুরো পাহাড়টি গ্রানাইট পাথরের। একটি চূড়া থেকে অন্য চূড়ায় যেতে হয় দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে।

ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত মাউন্ট কার্সটেনস নামের পর্বতের শৃঙ্গটি পুঞ্জাক জায়া নামেও পরিচিত, যার উচ্চতা ৪৮৮৪ মিটার।

ওয়াসফিয়া বলেন , " বিশ্বাস করেন, আর নাই করেন- কার্সটেসন পিরামিড আমার জীবনে সবচেয়ে কঠিন ও দূর্গম পাহাড়। এভারেস্টের চেয়েও।"

এই পর্বতের চূড়ায় উঠতে গিয়ে পদে পদে বিপদের সম্মুখিন হয়েছেন ওয়াসফিয়া। পাহাড়ের বেসক্যাম্পে পৌঁছাতে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির সাথে দেখা হয়।

যাদের মধ্যে নানা ধরনের কুসংস্কার এবং হিংস্রতা রয়েছে।

পর্বত আরোহণ শেষ করে ওয়াসফিয়া যখন ফিরছিলেন তখন একটি গ্রামে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি মারা যায়। সেজন্য দায়ী করা হয় ওয়াসফিয়া ও তার সহযোগিদের!

কারণ সেই গ্রামের লোকজন বিশ্বাস করে বিদেশীদের আগমনের কারণেই সেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে!

এমন কুসংস্কার প্রচলিত আছে পর্বতের পাদদেশের গ্রামগুলোতে। সেজন্য তাদের ক্ষতিপূরণও দিতে হয়েছে।

ওয়াসফিয়া বলেন , " এরপর আমাদের ধরে নিয়ে যায়। তারপর চার ঘন্টা সালিশ হয়। শেষ পর্যন্ত ওদের চার হাজার ডলার দিয়ে আমরা সেখান থেকে আসি।"

তিন বছর ধরে সেই পর্বতে ওঠার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের এই পর্বতারোহী। কিন্তু অনেক দূর্গম পাহাড় হবার কারণে এর আগে তার কয়েকটি চেষ্টা বিফল হয়।

তিনি বলেন, গ্রামের পর গ্রাম পার হয়ে এবং ২২০ কি.মি. পথ হেটে কার্সটেসন পিরামিড পর্বতের বেসক্যাম্পে যেতে হয়।

পর্বতের এক দিকে সোনার খনি থাকায় সেখানে আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ান মাফিয়াদের আনাগোনা। অন্যদিকে স্থানীয় বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠির মধ্যে তীর ধনুকের মারামারি।


দূর্গম পথ এবং সাংঘাতিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই কার্সটেসন পিরামিড জয় করেছেন এই পর্বতারোহী।

কার্সটেসন পিরামিডের তুলনায় এভারেস্ট জয় করা অনেক সহজ বলে জানালেন ওয়াসফিয়া।

তিনি বলেন, " নিরাপদে পৌঁছাতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। সামিটের দিন আমি বাচ্চাদের মতো কাঁদছিলাম।"

"হিমালয়ে ওঠার সময় শেরপারা রাস্তা বানিয়ে দেয়। আপনি দড়ি ধরে ধরে উঠবেন। এখানে ওরকম কিছু নেই। সবকিছু নিজের করতে হয়।"

কিন্তু তারপরও কথা রাখতে পেরেছেন ওয়াসফিয়া। কথা দিয়েছিলেন বিশ্বের সাতটি পর্বত শৃঙ্গ জয় করেবেন। চার বছর আগে তিনি তার এই কর্মসূচি শুরু করেন।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেটির বাস্তবায়ন করলেন বাংলাদেশের এই পর্বতারোহী।

Monday, November 23, 2015

সংসার

বিপরীত লিঙ্গের দুজন মানুষ পরস্পরকে সহ্য করে দীর্ঘকাল সহাবস্থানের অভ্যেসের নাম সংসার

[এরকম একটা সংজ্ঞা আগেও কেউ বলেছিল]

Sunday, November 15, 2015

টুকিটাকি

১. লিখি। লেখালেখি ব্যথানাশক মলমের মতো।

২. সকালবেলায় রিকশা করে যাবার সময় ফুটপাতের গাছতলার টং দোকানের ভিড়টায় চোখ পড়ে প্রায়ই। একদল লোক হল্লা করে কাপ পিরিচের শব্দ তুলে চা খায়, কাপের ভেতর ডালপুরি চুবিয়ে আয়েশ করে চিবোয়। ঘামে ভেজা মুখ মুছে কোমরে প্যাঁচানো গামছা দিয়ে। শ্রমজীবি এই মানুষেরা কেউ পত্রিকা পড়ে না, টিভি দেখে না, ব্লগ ফেসবুকের নামও শোনেনি হয়তো। এরা জানে না পৃথিবীর কোন শহরে কত অশান্তির আগুন জ্বলছে, জানে না ধর্ম নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে কত যুদ্ধ-চাপাতি-বোমাবাজি চলে নানান শহরে। টং দোকানের ভিড় অতিক্রম করতে করতে প্রতিদিন মনে মনে বলি, তোমাদের ভিড়ে একটু জায়গা দিতে পারো? আমি সভ্যতা থেকে পালাতে চাই।

৩. যুদ্ধ যখন পন্য, শান্তি নিশ্চয়ই ফেরারী।

৪. সভ্যতার জনক তুমি, সভ্যতার মৃত্যুদুতও তুমিই। মানুষ।

৫. অসময়ের বৃষ্টি পেকে যাওয়া ফসলেরও ক্ষতি করে।


Saturday, November 14, 2015

টাইগার রোড! এ কোন টাইগার?

পরাজিত পাক জেনারেল নিয়াজী সেনাবাহিনীতে 'টাইগার নিয়াজী' নামে পরিচিত ছিল। তার লেখা 'দ্য বিট্রেয়াল অব ইষ্ট পাকিস্তান' এর অনুবাদ পড়তে গিয়ে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল। সে দাবী করছে ঢাকা ক্যান্টমেন্টের একটা রাস্তার নাম 'টাইগার রোড', যেটি তার নামে রাখা হয়েছিল, এবং এখনো(১৯৯৫) বহাল আছে। আমি ঠিক জানি না ঢাকার কথাটা। কিন্তু চটগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের একটা রাস্তার নাম 'টাইগার রোড'। এটিও কি 'টাইগার নিয়াজী'র নামে রাখা? যদি তাই হয় এখনো সেই নামটি বহাল থাকাটা ভয়ানক গ্লানি ও অপমানকর।

Thursday, November 12, 2015

একটি দুর্ভাগ্যজনক হত্যাকাণ্ডের রায়


দুবছর আগের একটা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার শাস্তি ঘোষিত হলো আজ। পিতা-মাতাকে খুন করার দায়ে কন্যার ফাঁসির আদেশ দিলেন আদালত। ঘটনাটি ভীষণভাবে চমকে দিয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশকে। এও কি সম্ভব? সতেরো বছরের একটি মেয়ে তার বাবা-মা দুজনকে হত্যা করেছে কোন এক ভয়ংকর ক্রোধে? কী এমন ঘটনা ছিল তার পেছনে? আমাদের কখনো জানা হবেনা হয়তো। মানব মনের অদ্ভুত কোন বিগড়ে যাওয়ার কাহিনী কেবল ঐশীর ভেতরেই থেকে যাবে। মেয়েটির নাম ঐশী। নিষ্পাপ মুখটা দেখে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না সে এমন কাজটা করতে পারে। ঘটনাটা আমরা ভুলে যাবো কদিন বাদেই। তাই ঘটনাটি সংক্রান্ত খবরের লিংকগুলো সংরক্ষণ করে রাখছি ভবিষ্যতের জন্য।

আজকের সংবাদ

বাবা-মা হত্যায় ঐশীর ফাঁসির রায়

ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছর কারাদাণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেকসুর খালাস পেয়েছেন আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি।

ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

২৭ মাস আগে ওই হতাকাণ্ড এবং তাতে রহমান দম্পতির কিশোরী মেয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ওই ঘটনা বর্তমান সময়ের শিশু-কিশোরদের বেড়ে ওঠা এবং তাতে অভিভাবকদের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছিল, তেমনি ঐশীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের 'দায়িত্বহীন' আচরণ হয়েছিল সমালোচিত।   

এ মামলায় ঐশীদের বাসার শিশু গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার চলছে শিশু আদালতে। গত বছরের ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাকে জামিন দেন শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন। গত বছরের ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পেয়েছে সে।

২০১৩ সালের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী। পরে গ্রেপ্তার করা হয় রনি ও জনিকে।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। তাতে বলা হয়, বাবা-মা'কে ঐশীই হত্যা করেন; আর অন্যরা তাকে সহযোগিতা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতে তিনি বলেছিলেন, এই হত্যায় ঐশী জড়িত নয় বলেই তার বিশ্বাস।

=========================

ঘটনাটি যেদিন ঘটেছিল সেদিনের খবর-

রাজধানীর চামেলীবাগের একটি বাসা থেকে এক পুলিশ পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর  রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত মো. মাহফুজুর রহমান (৪৫) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) রাজনৈতিক শাখায় কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৪২) এবং দুই ছেলে-মেয়ে ও এক শিশু গৃহকর্মীকে নিয়ে ওই বাসার পঞ্চম তলায় থাকতেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তালাবন্ধ ফ্ল্যাটের একটি বাথরুম থেকে মাহফুজ ও স্বপ্নার লাশ পায় পুলিশ। তাদের দুজনের শরীরেই ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

এসবির উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার অফিস শেষ করে রাত ১১টায় বাসায় ফেরেন মাহফুজ। পরদিন ছুটি থাকায় অফিসের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

মাহফুজের দুই সন্তানের মধ্যে ঐশী একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের 'ও' লেভেলের ছাত্রী এবং ছেলে ঐহীর বয়স সাত বছর।

ঐহীর বরাত দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঐশী ছোট ভাইকে বলে, তাদের বাবা-মা রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। এরপর খালুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে ভাইকে নিয়ে ঐশী বাসা থেকে বের হয়। শুক্রবার সকালে একটি রিকশায় করে ঐহীকে চামেলী ম্যানসনের ওই ভবনে এক প্রতিবেশীর বাসায় পাঠানো হয়।

তবে লাশ উদ্ধারের পর থেকে ঐশীর কোনো খোঁজ পুলিশ জানতে পারেনি।

ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব জানান, তিন কক্ষের ওই ফ্ল্যাটের একটিতে থাকতেন মাহফুজ ও স্বপ্না। একটিতে থাকতো ছেলে ঐহী এবং অন্যটি ছিল ঐশীর ঘর।

ঐশীর ঘর সংলগ্ন বাথরুমের ভিতরে তার বাবা মাহফুজের লাশ পাওয়া যায়। আর স্বপ্নার লাশ ছিল বাথরুমের দরজায়। ঐশীর বিছানায় রক্ত লেগে থাকতে দেখা যায় বলে জানান তিনি।

ডিআইজি মোশাররফ বলেন, "আক্রোশ থেকে পরিকল্পিতভাবে দুজনকে খুন করা হয়েছে। চার থেকে পাঁচ জন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।"

মতিঝিলের এডিসি মেহেদী হাসান বলেন, "দুজনের শরীরেই ছুরি ও বটির আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাহফুজের গলায়ও আঘাত করা হয়েছে।"

বাসা থেকে একটি বটি ও একটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদক ধ্রুব জানান, ঐশীর ঘরের জিনিসপত্র ছিল অনেকটা এলোমেলো। রান্নাঘরে একটি প্লেটে কিছু অর্ধভুক্ত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পড়ে ছিল বলে পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন।

পাশের ফ্ল্যাটের গৃহকত্রী জানান, মাহফুজের পরিবার অনেক দিন ধরেই তার পাশের বাসায় আছেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনো কলহ হতে দেখেননি।

ওই অ্যাপার্টমেন্টের ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঐশীকে একটি অটোরিকশা ডাকতে দেখা যায়। এ সময় তার সঙ্গে ছোট ভাই ঐহী ও বাসার গৃহপরিচারিকা সুমি (১১) ছিল।

"বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে ঐশীকে বাসার বাইরে বের হতে না দেয়ার নির্দেশনা থাকায় আমি তার মায়ের নম্বরে ফোন দিলে একটি মোটা কণ্ঠ ভেসে আসে। তিনি বলেন, ঠিক আছে। ওকে যেতে দাও।"

ঐশীর মামা রবিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঐশী ফোন করে তাকে বাসায় আসতে অনুরোধ করে।

"ও বলে, মামা আমরা বাসার বাইরে ছিলাম। এখন বাসায় যাচ্ছি, তুমি আসো।"

রবিউল জানান, তিনি বাসায় এসে ঐশীদের ফ্ল্যাট তালাবন্ধ দেখেন। ঘণ্টাখানেক পর বেলা ১১টার দিকে ঐহী বাসায় আসে। তখন বোন-দুলাভাইয়ের ফোনে অনেকবার কল করে সেগুলো বন্ধ পান। দুপুরে বিষয়টি তিনি এসবি অফিসে জানালে সেখান থেকে পল্টন থানায় যোগাযোগ করা হয়। পরে পুলিশ এসে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মাহফুজ ও স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করে।

ম্যানেজার আমজাদ আলী জানান, রাতে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ওই বাসার নিরাপত্তারক্ষী মোতালেব ও শাহীন ধরে নিয়ে গেছে।

এডিসি মেহেদী বলেন, "ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। আশা করি শিগগিরই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।"

নিহত মাহফুজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়।

সংবাদ লিংক-
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1054506.bdnews
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article660106.bdnews

========================================================

কিছু প্রশ্ন

১. মামলার বাদী মাহফুজের ভাই মশিহুর রহমান মনে করেন, তার ভাতিজি এই হত্যাকাণ্ড ঘটাননি। তাহলে কে?
২. ঐশী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও পরে তা অস্বীকার করে বলেন, ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল। কেন?
৩. মামলার অন্য আসামি ঐশীদের বাসার গৃহকর্মী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর আদালতে তার বিচার চলছে। সেও জামিনে রয়েছে। কাজের মেয়েটিকে শাস্তি পেতে হবে কেন? সে কি পরিস্থিতির শিকার?



আমাদের জীবদ্দশায় এমন ঘটনা আর দেখার দুর্ভাগ্য না হোক।