তোমার অনিন্দ্য সুন্দর চোখ দুটি মেলো।
এদিকে চোখ তোলো।
এই দেখো-
তাকিয়ে দেখো খুব ভালো করে
তোমার পাশে একজোড়া নতুন হাত।
তোমার বাঁধানো সুখের শস্যখেত থেকে
কষ্টের আগাছাদের উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত সেই দুটি হাত।
তোমার মাথার চুলে বিলি কাটছে যে দুটো হাত।
তার সেই বেদনার্ত বুক ক্ষতি ভুলে আগলে রাখছে তোমার যত কষ্ট।
লুকিয়ে ফেলো তোমার অঝোর কান্না সেই আড়ালে।
আর কোন কষ্ট তোমাকে কুঁকড়ে খাবে না।
যতদিন সে জীবিত আছে
এই সময়, সেই সময়,
সে আছে তোমার পাশেই!
দেখো, তোমার অনিন্দ্য সুন্দর চোখ মেলে দেখো, আমি আছি!
তারিখটা বোধহয় ১৭ জুলাই ২০১০। এটিকে পদ্য মনে হলেও এটি আসলে সংলাপ সিঁড়ি। যার জন্য লেখা সে যোজন যোজন দূরে। তার সাথে কখন দেখা হবে সে জানে না। আদৌ হবে কিনা। প্রতিদিন তবু অনুভুতির প্রজাপতিরা বাগানে উড়ে উড়ে নিঃশব্দে স্মৃতি এঁকে যায়।
"শুরুই তো নেই, শেষ কি করে হবে। আসলেই কী তাই? আমি এভাবে ভাবি না। শুরুর তারিখটা আমার জানা নেই তবে শেষ যে হয়নি সে আমি জানি। আমার কাছে তাই ব্যর্থতার কোন হাহাকার নেই। বরং আছে সফলতার আনন্দ। দুজন মানুষ যুগ যুগ ধরে সফলভাবে একটা পবিত্র সুন্দর অনুভুতিকে লালন করেছে পৃথিবীর কোন অনিষ্ট না করে। এই সাফল্যের কথা আমি অস্বীকার করি কি করে? পাওয়া কি সবসময় শুধু দৈহিক পাওয়াই হয়? আমার কাছে তার চেয়ে আত্মিক পাওয়া যে অনেক বড়। আমি যে আত্মিক সফলতা অর্জন করেছি এটা তো আমার পৃথিবীর অন্যতম সুখের বিষয়। আমার বুকে তাই হারিয়ে ফেলার হাহাকার বাজে না। আমি যখন পথ হাঁটি তখন মাথার অনেক উপরে ভেসে থাকা মেঘের মধ্যে আমি দেখতে পাই সেও আমার সাথে সাথে উড়ে যাচ্ছে। আমি একটা নক্ষত্রগামী ফড়িং এর মতো ওর পাশে পাশে উড়তে থাকি হাওয়ায় হাওয়ায়। মেঘেরা আমাদের ছায়া দিয়ে পথ দেখায়। ওই আকাশের বিশালতায় ছড়ানো আছে আমাদের প্রাপ্তি। যে পথে সে একদিন হেঁটেছিল আমি এখনো সেই পথে হেঁটে যাই। তার পদস্পর্শ পৃথিবীর যতগুলো ধুলো ছুয়েছে তার সবকিছুই আমি যেন ছুঁতে পাই। আর সেই সাথে পেয়ে যাই তাকেও। তুমি কখনো হারাবে না আমার কাছ থেকে। সেই রূপে আমাদের কখনো দেখা হবে না হয়তো আর, কিন্তু তোমার স্মৃতির ছায়াগুলো আমার সঙ্গী হয়ে থাকবে সারাজীবন। এ আমার অনুপম আনন্দ। কাছে থাকা মানে পাশে বসে থাকা না। অনেক দূর থেকেও পাশে থাকা যায়। আমি জানি আমি জানি। আমি তো অনুক্ষণ পাশে থাকি অদৃশ্য মায়ায়।"
"অমরত্বের প্রত্যাশা নেই নেই কোন দাবী দাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকে চাওয়া
মুহূর্ত যায় জন্মের মতো অন্ধ জাতিস্মর
গত জন্মের ভুলে যাওয়া স্মৃতি বিস্মৃত অক্ষর
ছেঁড়া তাল পাতা পুঁথির পাতায় নিঃশ্বাস ফেলে হাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া
কাল-কেউটের ফনায় নাচছে লখিন্দরের স্মৃতি
বেহুলা কখনো বিধবা হয় না এটা বাংলার রীতি
ভেসে যায় ভেলা এবেলা ওবেলা একই শবদেহ নিয়ে
আগেও মরেছি আবার মরবো প্রেমের দিব্যি দিয়ে
জন্মেছি আমি আগেও অনেক মরেছি তোমারই কোলে
মুক্তি পাইনি শুধু তোমাকে আবার দেখবো বলে
বার বার ফিরে এসেছি আমরা এই পৃথিবীর টানে
কখনো গাঙর কখনো কোপাই কপোতাক্ষর গানে
গাঙর হয়েছে কখনো কাবেরী কখনো বা মিসিসিপি
কখনো রাইন কখনো কঙ্গো নদীদের স্বরলিপি
স্বরলিপি আমি আগেও লিখিনি এখনও লিখিনা তাই
মুখে মুখে ফেরা মানুষের গানে শুধু তোমাকেই চাই
তোমাকে চেয়েছি ছিলাম যখন অনেক জন্ম আগে
তথাগত তার নিঃসঙ্গতা দিলেন অস্তরাগে
তারই করুনায় ভিখারিনী তুমি হয়েছিলে একা একা
আমিও কাঙাল হলাম আরেক কাঙালের পেতে দেখা
নতজানু হয়ে ছিলাম তখন এখনো যেমন আছি
মাধুকরী হও নয়নমোহিনী স্বপ্নের কাছাকাছি
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্যটাই
বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই
আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই জন্মেছ বহুবার
আমি ছিলাম তোমার কামনা বিদ্রোহ চিৎকার
দুঃখ পেয়েছ যতবার জেনো আমায় দিয়েছো তুমি
আমি তোমার পুরুষ আমি তোমার জন্মভূমি
যতবার তুমি জননী হয়েছ ততবার আমি পিতা
কতো সন্তান জ্বালালো প্রেয়সী তোমার আমার চিতা
বার বার আসি আমরা দুজন বার বার ফিরে যাই
আবার আসবো আবার বলবো শুধু তোমাকেই চাই"
Time passes slowly up here in the mountains
We sit beside bridges and walk beside fountains
Catch the wild fishes that float through the stream
Time passes slowly when you're lost in a dream
No comments:
Post a Comment