Saturday, January 20, 2024

শতেক আলোর ভিড়ে- খুঁজে পাওয়া হারানো গান

মানুষের জীবনে অদ্ভুত অপ্রত্যাশিত কিছু কিছু প্রাপ্তি আছে যা একেকটা দিনকে ভরিয়ে দিতে পারে। খুব তুচ্ছ একটা প্রাপ্তিকেও মনে হতে পারে বিশাল অর্জন। আজ তেমনই একটি ব্যাপার ঘটলো। প্রায় তিন দশক আগে অজয় চক্রবর্তীর গানের সাথে প্রথম পরিচয়। সেই সময় তাঁর সদ্য প্রকাশিত একটা ক্যাসেট কিনেছিলাম। সেই ক্যাসেটে এমন কিছু গান ছিল যেগুলো বহুবার শোনার পরও পুরোনো হয়নি। এখনো আমার কাছে সমান প্রিয়। কিন্তু ক্যাসেট যুগ শেষ হয়ে যাবার পর গানগুলো হারিয়ে গিয়েছিল আমার কাছ থেকে। পরে ইউটিউব যুগ আসার পর অনলাইনে খুঁজে খুঁজে সেই গানের অনেকগুলো উদ্ধার করতে পেরেছিলাম। শুধু একটি গান বাদে। যে গানটি আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল, সেই গানটিই কোথাও পাওয়া গেল না। বন্ধুবান্ধব সবাইকে বলেছি। কারো কাছে নেই তার সন্ধান। সারা দুনিয়া খুঁজে কোথাও না পেয়ে ২০১৩ সালে মরিয়া হয়ে একটা পোস্ট লিখি নিজের ব্লগস্পটে। যদি পৃথিবীর কোন প্রান্তে কারো কাছে এই গানের খোঁজ থাকে, যদি ওই পোস্ট কারো চোখে পড়ে....খুব অসম্ভব একটা ব্যাপার। নিজেও কোনদিন বিশ্বাস করিনি কেউ খোঁজ দিতে পারবে। কারো খোঁজ থাকলেও খেয়ে কাজ নেই আমাকে সেই খোঁজ জানাবে।

Sunday, November 24, 2013

স্মৃতিময় গান, কোজাগরী রাত

শতেক আলোর ভিড়ে, নিভে গেল......
কোজাগরী রাত জাগা... চাঁদিনীর  যত আলো কণা....
(অজয় চক্রবর্তী)


প্রাঙ্গন জুড়ে সবুজের মেলা। আম, কাঠাল, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, নারিকেল, বরই, জাম্বুরা সহ নানা জাতের ফলের গাছে আকাশ প্রায় ঢাকা। মাত্র কবছর আগেও গাছগুলো একদম চারাগাছ। ফকফকা জোছনা ছিল প্রান্তরজুড়ে। কিন্তু এখন জোছনাদের অনেক কসরত করতে হয় এই প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে। কোন কোন মাতাল করা চাঁদনী রাতে বেতের মোড়া নিয়ে বারান্দা বসে গাছের ফাঁক গলে পড়া জোছনা দেখতে বসতাম। কত বছর ধরে সেই মায়াবী জোছনার রূপ দেখছি, তবু যেদিন প্রথম অজয়ের এই গানের সাথে জোছনা দেখলাম সেদিন আমি জোছনার এক নতুন রূপ দেখলাম। আগে কখনো দেখিনি। গাছের ফাঁক গলে পড়া জোছনার আলো প্রাঙ্গন জুড়ে সৃষ্টি করেছে অসাধারণ এক আলপনা। অপূর্ব সেই দৃশ্য, বর্ননাতীত সেই সৌন্দর্য। আমি রাতভর সেই সৌন্দর্যে ডুবে থাকতাম। এমনকি রাত পোহাবার পরও আমার চোখে ভাসতো সেই আলপনার মায়া। অজয়ের এই গানটা আমি হারিয়ে ফেলেছি অনেক বছর আগে। তারপর থেকে ক্রমাগত খুঁজে গেছি। আর কোথাও পাইনি।

সেই মায়াবী জোছনার আলপনা ঢাকা বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে সেই কবে। তবু আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতির একটি সেই কোজাগরি রাতের চাঁদের আলপনা।

আমি গানটি খুঁজে যাবো। যতদিন না পাই। এই গানের সাথে আমার প্রিয় স্মৃতিদের বসবাস।

আহা, কেউ যদি খুঁজে দিত? অথবা কোন একটা লিংক? 

---------------------------------------------------------------

৮ বছর পর

কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছর কেউ কোন খোঁজ দিতে পারেনি, কিংবা কারো চোখে পড়েনি। ৮ বছর পর ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর অচেনা একজন সেই পোস্টে এসে মন্তব্যের ঘরে একটা লিংক দিয়ে গেলেন। সেটা আমার চোখে পড়েছে আরো মাসখানেক পর। দুর্ভাগ্য আমার ততদিনে দেখা গেল লিংকটা কোন কারণে অকার্যকর হয়ে আছে। হতাশ হয়ে গেলাম। 

আরো তিন বছর পর কেটে গেছে তারপর। কী একটা কারণে ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারী রাতে ব্লগের সেই একযুগ আগের পোস্টটা সামনে এসে পড়ল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেই লিংকে ক্লিক করলাম। লিংকটা কাজ করবে না জেনেও। কিন্তু কী আশ্চর্য! অদ্ভুত ব্যাপার ঘটলো। তিন বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা সেই অকার্যকর লিংকটা আজকে জেগে উঠলো। আমার বহুল কাঙ্খিত গানটা তিন দশক পর আবারো বাজতে শুরু করলো। আমার মনে হলো স্বপ্ন দেখছি। নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এই আনন্দ প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই। আমি যেন ত্রিশ বছর পুরোনো নস্টালজিয়ায় ডুবে গেলাম। চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো একের পর এক স্মৃতির ফলক। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে আমাদের সেই বাগানঘেরা বাড়িটা আর নেই। সেখানে বহুতল দালান উঠে পুরোনো দিনের সব চিহ্ন আমূল বদলে দিয়েছে। কিন্তু এই গানটা নিমেষের মধ্যে আমাকে সেই বাগানবাড়ির চাঁদনী রাতের আলপনার জগতে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।  

হে অচেনা মানুষ- আপনার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থেকে গেলাম। আমার হারিয়ে যাওয়া অতীতের একটি টুকরো আপনি ফিরিয়ে দিলেন।


শতেক আলোর ভিড়ে- অজয় চক্রবর্তী


এক যুগ আগের সেই পুরোনো পোস্ট:

https://neersondhani.blogspot.com/2013/11/blog-post_24.html

Color of Paradise: Remembering

 

The Artwork by Naznin Chowdhury


There are some paintings that just play around with color. The color that represents beauty and joy. This is one of them. This happy artwork is a reflection that conveys a feeling of the splendor of nature. It makes no difference whether you find another meaning in this picture. But you clearly appreciate this image with the color patterns.

I am fortunate to have purchased this artwork directly from the artist, Naznin Chowdhury, who is one of the all-time best teachers at Chittagong Grammar School. 

She is not a professional artist, but she is a passionate artist by heart. Art is her hobby, and she makes it when she has free time. The beauty of the image surely mirrors the beauty of her heart. This appears to be a simple village scene in the piece of art. But this picture is a brilliant symphony of colors, with each color playing its own distinct note in harmony with the others. The blue sky, decorated with cotton-like clouds, provides a peaceful atmosphere for the landscape below. The eye is pulled to the garden's kaleidoscope of color combinations, where flowers grow with exuberance. The small village house, hidden among the natural beauty, offers a sense of warmth and familiarity. It is a visual poem celebrating the beauty of nature and the simplicity of country life. 

Despite being a reference image, this one is a fantastic design that resembles an original painting. The artist's hand continues to produce this sort of work.


ART & THE ARTIST




We may never see each other again, yet you will be remembered fondly. Life isn't always fair. However, a decent soul is always remembered with dignity. Our hearts will follow you to the end of days. 
**********************************

The hospital is a very strange place...on one hand there are people walking around in the hope of getting the slightest hope of their dear one's recovery...and on the other hand the joy of a newcomer bringing a smile on people's faces...Yes life is a cycle..and one's arrival is only possible at the cost of the departure of someone else. [ November 22, 2013]

Wednesday, January 17, 2024

চারজন ব্যস্ত মানুষ এবং একজন অলসের রুটিন

হ্যালো বিং! 

চারজন ব্যস্ত মানুষের দৈনিক রুটিন বলো দেখি:  বিলগেটস, ইলন মাস্ক, জো বাইডেন, ভ্লাদিমির পুতিন

বিং উত্তর দিল:
 
BILL GATES:

**Morning:**
- Gates' day starts with an **hour-long cardio workout**¹.
- After exercising, he catches up on the latest news by reading newspapers like The New York Times, The Wall Street Journal, and the Economist¹.

**Afternoon:**
- Gates is known for dividing his day into intervals of **5 minutes**¹.
- He reads each day and it's been said that he reads about **50 books every year**¹.
- He also tries to spend time with his children¹.

**Evening:**
- Gates once reportedly washed the dishes after dinner each night¹.
- He also tries to spend time relaxing, meeting with business associates, and perhaps even watching films in the evening¹.
- He aims to get at least **7 hours of sleep** a night¹.

ELON MUSK:

**Morning:**
- Musk wakes up each morning at around **7 am**¹².
- He likes getting around **six to six-and-a-half hours** of sleep per night¹².
- After getting up, he showers, dresses, and enjoys a morning cup of coffee¹.
- However, he is usually in such a rush that he skips breakfast most days¹².
- He sends his kids off to school and drives to work¹.

**Afternoon:**
- Musk's workweek is split between his various businesses¹.
- Most of his time is spent on design and engineering work¹.
- He organizes his day into 5-minute-long segments¹.
- He often works so hard that he skips meals¹.
- He usually prefers a working lunch which is followed by a walk around the factory³.

**Evening:**
- In the evening hours between **6 pm to 9 pm**, Musk prefers to spend time with his family³.
- When he's not working, he likes to relax with some whiskey or wine, reading anime, and tweeting¹.
- He goes to bed around **1 am**¹².

JOE BIDEN

**Morning:**
- Biden wakes up every day before **eight in the morning**¹².
- He starts the day with a workout, weight lifting while watching the news, or meeting with his personal trainer¹².
- He goes through a daily news bulletin before leaving home¹.
- He usually has a protein shake for breakfast¹.
- Just after 9 am, he heads for the Oval office to start the day with phone calls, meetings, and a daily security brief with Vice President Kamala Harris¹.

**Afternoon:**
- President Biden generally has a light lunch of salad and grilled chicken or a bowl of soup washed down with his favorite drink, a Gatorade or Coke Zero¹.
- In the afternoon, he usually has several meetings with his top advisors¹.
- He may also spend time speaking to heads of state¹.

**Evening:**
- Biden heads home at about **7 pm**¹².
- He has dinner with his wife and chats about his day in the office¹².
- After dinner, he makes calls to various advisors¹².
- He ends every day with a call to his son, Hunter, who has struggled with an addiction problem over the years¹².

VLADIMIR PUTIN:

**Morning:**
- Putin stays up late into the morning, and he’s a late sleeper. On most days, he doesn’t often sleep past noon¹.
- Putin starts the day with breakfast, where he enjoys a sizeable meal. He’ll either start with porridge or an omelet, and he enjoys quail's eggs¹.
- After finishing his meal, the president enjoys a cup of coffee¹.
- Putin enjoys his time in the pool, where he spends around 2 hours every day¹.
- After completing his swim, the president moves on to the gym, where he is often accompanied by Prime Minister Medvedev¹.
- Occasionally, Putin will swap his gym session for one of his other passions, a game of ice hockey¹.

**Afternoon:**
- Putin doesn’t get to work until around 5 pm¹.
- He starts his afternoon reading through briefing notes prepared by his staff¹.

**Evening:**
- After his "morning" exercise, Putin heads to his quarters to dress for the day's meetings¹.

-----------------------------------------------------------------------------------

এবার একজন সত্যিকারের অলস লোকের রুটিন বলো দেখি:

বিং উত্তর দিল:

Routine of a PERFECTLY LAZY person:

**Morning:**
- **10:00 AM:** Wake up¹.
- **10:30 AM:** Have a leisurely breakfast¹.
- **11:00 AM:** Go back to sleep¹.

**Afternoon:**
- **2:00 PM:** Wake up¹.
- **2:30 PM:** Have a late lunch¹.
- **3:00 PM:** Take a nap¹.

**Evening:**
- **6:00 PM:** Wake up¹.
- **6:30 PM:** Have dinner¹.
- **7:00 PM:** Watch TV or do other low-energy activities¹.

**Night:**
- **10:00 PM:** Have a late-night snack¹.
- **10:30 PM:** Go to bed¹.

এবার বলো দেখি চারজন ব্যস্ত মানুষ এবং একজন অলসের মধ্যে সুখী কোনজন?

বিং এর উত্তর:
Happiness is a deeply personal and subjective experience that can vary greatly from person to person. It’s not necessarily tied to how busy or lazy someone is. Some people might find joy and fulfillment in leading a busy, productive life, while others might find happiness in a more relaxed, leisurely lifestyle. It’s all about finding a balance that works for you and aligns with your personal values, interests, and goals. So, both the busy individuals and the lazy person could be equally happy, depending on their personal preferences and what brings them joy. It’s important to remember that everyone’s path to happiness is unique.

সারকথা হলো- সুখী হবার জন্য অত বেশি কষ্ট করে টাকাপয়সা কামাই করার দরকার নাই। অল্প টাকা দিয়েই সুখী হওয়া শ্রেয়।



Tuesday, January 16, 2024

পৃথিবীর প্রাচীনতম ফুল

 


বাংলাদেশের পথেঘাটে আমরা হরদম এরকম আগাছা ফুল দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু ইনি সেরকম কেউ নন। টাইম মেশিনে চড়ে ইনি মাত্র ৩২,০০০ বছর আগের সময় থেকে একুশ শতকে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁর নামকরণ করা হয়েছে Silene stenophylla.
রবিঠাকুর থাকলে হয়তো কাব্যিক নামকরণ করতেন- 'তুষারকন্যা সাইলিনা'। সাইবেরিয়ার গহীন বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলে একটা মৃত খরগোশের পেটের মধ্যে বত্রিশ হাজার বছর ঢাকা পড়েছিল এই ফুলের বীজ। সেখান থেকে একুশ শতকের বিজ্ঞানীরা পুনরুজ্জীবিত করে ফুল ফোটাতে পেরেছেন। রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্স এই কৃতিত্বের দাবীদার। বিশেষ অভিবাদন জানাতে হয় David Gilichinskyকে, যাঁর নেতৃত্বে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছিল।
রহস্যময় প্রকৃতি কোন খেয়ালে এই বীজকে এত হাজার বছর জীবিত রেখেছে তা আমাদের অজানা। কিন্তু এই মুহূর্তে সাইলিন স্টেনোফিলা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ফুল, প্রাচীনতম উদ্ভিদ।

Wednesday, January 10, 2024

পলিথিনের ভালমন্দ

আমাদের দেশের অধিকাংশ আইনকানুনগুলো ব্যর্থ হয় প্রয়োগ পদ্ধতির কারণে। কিছু আইন ব্যর্থ হয় অবাস্তব সিদ্ধান্তের কারণে। আমি একটা বেআইনী জিনিসের উদাহরণ দেবো যেটা চাইলে নিয়ন্ত্রণ করা যেতো, কিন্তু প্রয়োগের ফাঁক গলে আরো বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশে নাকি পলিথিন নিষিদ্ধ। বাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের ব্যাপার ঘটেছে আরো বিশ বছর আগে। কিন্তু আসলে কী ঘটেছে? পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার দশগুন বেড়েছে। বেড়েছে ওই আইনটার কারণেই। খুলে বলছি।

সত্তর আশির দশকে ছালা কিংবা চটের ব্যাগ পাওয়া যেতো বাজারে। একটা ব্যাগ কিনলে গোটা বছর পার। খুব বেশি হলে বছরে দু তিনটা ব্যাগ কিনতো লোকে। নব্বই দশকে পলিথিন ব্যাগ আসলো। বাজারে গিয়ে এক টাকা দিয়ে একটা পলিথিন ব্যাগ কিনে বাজার করতো লোকে। এক ব্যাগ দিয়ে একদিনের বাজার। কখনো দুটো তিনটা ব্যাগও লাগতো মাছ মাংস আলাদা কেনার জন্য। প্রথমদিকে ওই পলিথিনগুলো একটু পুরু ছিল। বারবার ব্যবহার করা যেতো। ওই ব্যাগগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর চটের ব্যাগের কদর কমে যায়। চটের ব্যাগ উঠে যায় পুরোপুরি। পলিথিনের রাজত্বে অতিষ্ট হয়ে সরকার আইন করে, ধরপাকড় করে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। আসলে কী ঘটলো? পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধ করার পর বাজারে সাদা পলিথিনের আমদানী ঘটলো। নানান সাইজের। আস্তে আস্তে ওটা বাজার দখল করে ফেলল। এমনভাবে দখল করলো আপনি বাজারে গেলে প্রতিবার কমপক্ষে দশটা পলিথিন নিয়ে ফেরত আসেন। আপনাকে প্রতিটি জিনিস আলাদা আলাদা পলিথিনে দেয় দোকানী। আগে একটা পলিথিনে আপনি বাজার করে আনতেন, এখন আপনি দশটা পলিথিনে বাজার করেন। এটা নিয়ে সরকারের কোন আপত্তি আছে মনে হয় না। আপত্তি না থাকার কারণ বোধহয় এগুলো শুধু পলিথিন ঠোঙ্গা। শপিং ব্যাগ নয়। শপিং ব্যাগ ধরার জন্য যে ফুটোটা থাকে সেটা এখানে নেই। এটাকে শপিং ব্যাগ সংজ্ঞায়িত করা যায় না। জিনিসটা কী এটার কোন সংজ্ঞাই নেই আসলে। এই সংজ্ঞাহীনতার কারণে সারা দেশ পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে। এখন আমার মনে হয় আগের পলিথিন শপিং ব্যাগের যুগই ভালো ছিল। একটা ব্যাগ নিয়ে বাজার থেকে ফিরতাম। এখন আমরা দশটা পলিথিন নিয়ে ফিরি। পলিথিন নিষেধাজ্ঞা এভাবেই ব্যর্থ হলো।


পলিথিন নিয়ন্ত্রণ সীমিতভাবে হলেও কিভাবে সফল হতে পারে সে ব্যাপারে আমার একটা পরামর্শ আছে। পলিথিন নিষিদ্ধ করা হলেও পলিথিন শিল্প তো নিষিদ্ধ হয়নি। বাজারে পলিথিন ধরার জন্য মাঝে মাঝে এলোমেলো ধরাধরি না সরকার বরং তাদের একটা নিয়মের আওতায় আনতে পারে। তাদের বলতে পারে বাবারা ঠোঙ্গা পলিথিন বাদ দিয়ে মানসম্পন্ন পলিথিন শপিং ব্যাগ বানাও, যে ব্যাগটা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে। দোকানে দোকানে সেই পলিথিন থাকবে। সেই পলিথিনের দাম হবে কমপক্ষে দুই টাকা। এই দুই টাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দোকানদার চাইলে পলিথিন ব্যাগের দাম বাবদ দুই টাকা নিতে পারে, চাইলে দুই টাকা মাফ করে দিতে পারে। দুই টাকার ফজিলত হলো, অপচয় রোধ। যে কোন জিনিস বিনামূল্যে পেলে মানুষ যত্রতত্র ব্যবহার করে, যেখানে সেখানে অপচয় করে। এখন দুই টাকা খরচের ব্যাপার আসলে দোকানীরা আগের মতো প্রতিটা আইটেমের জন্য একটা করে পলিথিন দেবে না। একটা পলিথিনেই সব জিনিস ভরে দেবে। ক্রেতাও একটা পলিথিন পাবে কাজে লাগানোর জন্য। টুনিপ্যাকের মতো সেগুলো বাসায় নিয়ে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলবে না। আমার মনে হয় পলিথিনের টুনিপ্যাকগুলো বন্ধ হলে পলিথিন ব্যবহারের পরিমান এক পঞ্চমাংশ কমে যাবে। পলিথিনজাত পরিবেশ বিপর্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে। পৃথিবীতে তেলাপোকা যেন নির্মূল হয়নি তেমনই পলিথিন নির্মূল হবে না। থাকবেই যখন তখন কমপক্ষে পাঁচ কেজি সাইজের শপিং ব্যাগ থাকুক। সারা পৃথিবীতে কমবেশি পলিথিন শপিং ব্যাগ আছে। কিন্তু আমাদের মতো কোটি কোটি টুনিব্যাগ নাই। প্রতিদিন বাংলাদেশে কয়েক কোটি পলিথিন ব্যাগ অপচয় করা হয় শুধুমাত্র বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার কারণে।

Sunday, January 7, 2024

রবীন্দ্রনাথ এবং আনা কারেনিনা

 

আনা কারেনিনা পড়ছিলাম কদিন ধরে। পড়তে গিয়ে কিছু জায়গায় রবীন্দ্রনাথের ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম। আমার জানা ছিল না রবীন্দ্রনাথ টলস্টয়কে নিয়ে কী ভাবতেন কিংবা তাঁর বই পড়েছিলেন কিনা। হঠাৎ করে আজ ছিন্নপত্রাবলীর একটা চিঠিতে এই অংশটা চোখে পড়ে গেল। লিখেছেন ১২ জুন ১৮৮৯ তারিখে। লিখেছেন - "Anna Karenina পড়তে গেলুম, এমনি বিশ্রী লাগল যে পড়তে পারলুম না- এরকম সব sickly বই পড়ে কী সুখ বুঝতে পারি নে" 

জানি না রবীন্দ্রনাথের ২৮ বছর বয়সের এই ধারণা পরবর্তীকালে বদল ঘটেছিল কিনা। হয়তো পরে তিনি আবারো পড়েছিলেন টলস্টয়। কারণ কোন কোন ক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের ভাষা এবং উপস্থাপনা কিছু জায়গায় টলস্টয় প্রভাবিত। শেষের কবিতার কথা বিশেষভাবে বললাম।


[ছিন্নপত্রাবলী: পত্র নং ৩]

Tuesday, January 2, 2024

২০২৪- নোটস

আহসান মঞ্জিল ও খাজা আবদুল গনি সম্পর্কে

On the 13th May I accompanied the Collector on a visit of ceremony to Khajeh Abdool Ghani (Guni Mya), who lived in a fine house by the river, handsomely furnished in the EurojDean style. Additions were being made, and when finished the building looked really imposing, especially from the river ; but the works were then only in progress. Guni Mya was a great factor in Dacca society, member of the Municipal Committee, a liberal supporter of charities, profusely hospitable, and a great patron of sport. His elephants were always available for shooting or pig-sticking parties ; he kept an English jockey and a racing stable, and had just bought a lot of foxhounds originally imported for the Mymensingh pack. His son AhsanuUa, a stout good-tempered youngfellow, played the harmonium, dabbled in photography, and was like his father a good specimen of the Anglicised native.

[Lower Bengal-Clay, Page129]


ক্লে সাহেবের গুলতি বিবরণ 

Waller was a great hand at the ghulel, or Indian pellet-how, with which an expert shooter can l)reak bottles or knock over birds at a good distance. The bow is of bamboo, tapering to the ends ; the string (gut) is double, the two strings being kept apart by a spanner near the top. Nearly opposite but a little above the grip, a piece of webbing is woven between the strings to receive the jiellet, which is kept in position with forefinger and thumb. In letting fly, the left hand is bent slightly outwards from the wrist, so as to shoot clear of the bamboo and the shooter's thumb, which might otherwise get hurt, for well-made clay j)ellets, sun-baked, are nearly as hard as marbles, and fly with great force.

[Lower Bengal-Clay, Page-50]



চট্টগ্রামের 'বেগম'
Besides the bear and the monkey, Holt possessed another animal, rather large for a pet , in the shape of a rhinoceros , which had been found stuck in a quicksand somewhere in the south of the district by one of the Kheddah parties, and secured and brought in with the help of elephants. " Begum " lived in a stockaded enclosure on our hill containing a bath or rather mud-hole in which it was her delight to wallow. She was different from the Indian rhino which has a single horn, being a specimen of the Malayan or two-horned variety. After a time she got very tame and quiet, but never could endure the sight of an elephant, which perhaps reminded her of her capture. She was afterwards bought by Jamrach the great beast collector , sent to England, and eventually found a home in the Zoo at Regent's Park, where she was labelled the " Hairy-eared Rhinoceros ."
[Lower bengal - Clay, P-209]