কোনোদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে
বসন্ত-বাতাসে
অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,
ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,
সেই ক্ষণে খুঁজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে
তোমার প্রাণের প্রানে-; বিস্মৃতি প্রদোষে
হয়তো দিবে সে জ্যোতি,
হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নের মুরতি।
তবু সে তো স্বপ্ন নয়,
সবচেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়-
সে আমার প্রেম,
তারে আমি রাখিয়া এলেম
অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে।
======================================
আরে..........এ যেন আমারেই বলা......যখন তুমি কর্ম ছাড়িয়া বেকার হইয়া বসন্ত বাতাস উদযাপন করিতে বসিবা অতীতের তীর হইতে যে রাতে বসন্ত বাতাস উড়িয়া আসিবে, ঝরা বকুলের কান্নায় আকাশও ব্যথিত হইয়া যাইবে, তখন তুমি পিছনে ফিরিয়া দেখো কিছু ফেলিয়া আসিয়াছেন কী জনাব? কিন্তু প্রাণের প্রানে কেন? প্রাণ এবং প্রান দুটো আলাদা শব্দ? যা খুশী হোক। পরের লাইনে যাই... এরপর বিস্মৃতির প্রদোষে মানে শেষ বেলায় এসে হয়তো সে দেবে জ্যোতি মানে আলো। সবকিছু শেষ হবার পর শেষবেলার আলো? হয়তো কখনো নামহীন কোন সপ্ন দেখাবে, এটাও আজব কথা। স্বপ্নের তো নামও থাকে নাকি। তবু সে স্বপ্ন নয়, আহ। যদি সবচেয়ে সত্য হতো? সে আমার প্রেম হতো। হতোই তো। বসন্তকাল বলে নয়, বর্ষাকালে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও একই স্বপ্ন। তারে আবার আমি রাখিয়া আসলাম, কেন? অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে? কে তুমি? বুড়ো কি শেষবেলায় এই কবিতা আবারো পড়ে দেখছিল? নাহ। মনে হয় না।
কাজের ফাঁকতালে কবিতাগুলো এক ঝলক বসন্ত বাতাসের মতো। এক কাপ চায়ের সাথে একটা গরম সিঙ্গাড়া। বসন্ত বাতাসে এখনো শীতলতা। চায়ের পরে ধোঁয়ার উৎসবে সন্ধ্যেটা ভীষণ মায়াময়। ভাগ্যিস রোবোট হয়ে জন্মাইনি। মানুষের আর কিছু না থাকলেও একটা আকাশ আছে, কিছু সবুজ আছে, কিছু প্রাণ আছে। আছে কিছু অর্থহীন ভাবালুতা। নইলে কাজ কাজ কাজ করে মুখ থুবড়ে পড়ে যেতাম অর্থহীন একটা জীবন শেষে। যা চেয়েছি সব পেয়ে যাওয়ার পর আর কিছু চাইতে হয় না। যা পেয়েছি তাকে যা চেয়েছির পাল্লায় তুলে দিয়ে ভারসাম্য রক্ষাকেও একেবারে ব্যর্থ বলা যায় না। ভাঙেনি আমার কাঁচের আয়না!
[কবিতা কৃতজ্ঞতা: রবিঠাকুর]
No comments:
Post a Comment