১.
রাতে একটা মেজবানের দাওয়াত আছে। চট্টগ্রামের মেজবান জিনিসটা প্রায় সবার মতো আমারও পছন্দ। কিন্তু আজকের দাওয়াতের জায়গাটা নাপছন্দ আমার, হৈ হৈ করে খানাপিনার ব্যবস্থা নাই ওখানে। খেতে হবে চুপচাপ, ছুরি কাটায় কেবলি টুংটাং। সবকিছু খুব বেশী সাজানো গোছানো সুশৃংখল, সুন্দর। এত বেশী শুভ্রতা ভালো লাগে না অনভ্যস্ত চোখে। বেয়নেট দেয়া রাইফেল হাতে উর্দিপরা সিপাহির নিরাপত্তা ছাউনিতে এখনো স্বস্তিবোধ করি না। হাসি হাসি চোয়াল ব্যাথা করা কাষ্ঠহাসি, বড়লোকী দাওয়াতের বিড়ম্বনা। তবু কর্মসুত্রের দাওয়াতে না গিয়েও হয় না।
২.
যখন কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু মাথার ভেতরে কোন বাক্য কাজ করে না সেরকম দুঃসময়ে যেসব এলোমেলো বাক্য পয়দা হয় তাকে কোবতে বলে ভুল হতে পারে। যেমন-
বেহিসেবি কথা বলার একজন বন্ধু দরকার
বেয়াড়া সময় কাটানোর একটা জীবন
বেসামাল হারিয়ে যাবার একটা অরণ্য আর
বেহুদা লেখালেখি করার একটা খাতা
পাইনি পাইনি করে সব পাওয়া হয়ে গেলে
একদিন- বন্ধু এসে জানালো
এইসব পাগলামিতে কোন প্রেম নেই,
এর সবকিছুই অসুস্থতার লক্ষণ!
তারপর থেকে আমি হাসপাতালে বন্দী,
আর তুমি মুক্ত বিহঙ্গ।
এইটা কোন জাতের পদ্য হইলো না। তবু আজকাল ব্লগরব্লগর আবিষ্কার হবার পর আবজাব কিছু ফেললে ডিলিট বাটনের বদলে পোষ্ট বাটন টিপে দিতে ইচ্ছে হয়। প্রযুক্তির বিড়ম্বনা।
৩.
ডিলিট বাটনের ব্যবহারে মনে পড়লো আজকে ফেসবুকে ঢুকে দেখি এক ভার্চুয়াল বন্ধুর তালিকা থেকে দ্বিতীয়বারের মতো শহীদ। বিনা কারণে। কেন যে এডায় কেন ডিলিটায় বুঝি না। ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব বড় কুটিল।
তয় তার কাছে বিনীত অনুরোধ, ভাই মাফ চাই আর কাপুরুষ বানাইস না। আমাকে আবার এড করিস না, ৩য় বার ডিলিটও করিস না। কাপুরুষই বারবার মরে, বীরেরা নাকি মরে একবার। আমি কাপুরুষ হইতে চাহি না।
কাপুরুষের কথায় মনে পড়লো কা-নারী জাতীয় কিছু নেই কেন বাংলা অভিধানে? নাকি আছে?
ব্লগরব্লগর প্রচেষ্টা কদ্দুর সফল হলো কে জানে?
No comments:
Post a Comment