একদিন সবকিছু গল্প হয়ে যায়............................
সময় বয়ে গেছে সেই বহুকাল আগে। তবু এখনো অবশিষ্ট রয়ে গেছে বাকতৃষ্ণা। আমাদের আনন্দ আছে বুকের গভীরে, তৃপ্তি আছে সুখের সাগরে। আমরা সেই আনন্দ সাগরে স্নান করি যখন খুশী। যতদিন আমাদের সুখের আয়ু, ততদিন এই স্রোত বহমান। এক হাসিতে সাত দিন, অধরা মানুষ ঘটনাবিহীন।
সময়েরও আগের কথা। সুবর্ণ রথে চড়ে একদিন ভেসে এসেছিল সুদিনের সংবাদ। যার আসার কথা নয়, তার একটু কথার সুর ফিরে তাকিয়েছিল।
..................................................
ফেরাতে পারিনা চোখ
তুমি আমার অনন্ত অসুখ
............................
কিছু কথা ছিল বাকী, কিছু ব্যথা দিল ফাঁকি
কিছু হাসি চুপ করে ছিল লুকিয়ে
সেই চোখ, সেই নাক, সেই ওষ্ঠাধার
চেনা চুলের ভাঁজ
এখনো এখনো ঢেউ তোলে বয়ে যাওয়া ধান খেতে
রাখাল বাজায় বাঁশী, গরুর পাল লয়ে যায় ফিরে
গোধুলী বেলায় এসে শুনতে কী পাও?
....................
বিকেলবেলার বারান্দাটির কথা মনে পড়ে। এক ফালি সেই বারান্দায় কয়েকটি ফুলের টব। সেই টবে সবুজ লতানো গাছগুলো বেড়ে উঠতো, ফুলেরা হেসে উঠতো, পাতাবাহারের ঝোঁপ থেকে ভেসে আসতো মাটির গন্ধ। সেখানে ছিল একটি চেয়ার। একজন আসলে সোজা বারান্দায় চলে যেতো। সেই চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পর আরেকজন এসে বারান্দার দরোজায় দাঁড়াতো। তারপর গাছেদের মাঝখানে রেখে কথা বলতো সেই প্রিয়ংবদা। গাছের কথা, পাতার কথা, ফুলের কথা, ফলের কথা, কথার কথা চলতে চলতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো। ঘরে বাতি জ্বলে উঠলে ওরাও উঠতো। চায়ের টেবিলে আবারো বসা হতো। চা খেতে খেতে আরো কথা। শুধু কথার কথা। ছিল না কোন অর্থ। তবু সেই অন্য কথার মধ্যে কোন বার্তা আসা যাওয়া করতো কিনা সেটা অন্তর্যামী ছাড়া কারো জানার কথা না। সেই কথার কথা দিনগুলো ফুরিয়ে গেল একদিন। বন্ধ হলো আসা যাওয়া। পথের ধারে ছিল না কোন প্রতীক্ষা। গন্তব্য হয়ে গেল আলাদা পথে। একদিন.....অনেকদিন পর একদিন মহাশূন্যে নীহারিকার কক্ষপথে দেখা হয়ে গেল আবার। তখন আর বারান্দা নেই, ফুলের গাছ নেই, গাছের পাতা নেই, আছে দুই নীহারিকার দুই নক্ষত্র। তখন সব ভয় দূরে সরে গেছে। সব দ্বিধা পিছু হটেছে। তখন ওরা মহাবিশ্বের সাক্ষ্যে নিজেদের উন্মোচিত করে। কথাগুলো এবার অর্থপূর্ণ হয়। স্মৃতির বাগানে ছড়ানো বিচ্ছিন্ন অক্ষরগুলো জোড়া লাগে। বাক্যগুলো সুসংহত হয়। তারপর.....তারপর খুব দেরীতে হলেও একটি অনুপম কবিতার জন্ম হয়।
....................................................................................................................................
একদিন সবকিছু ফুরিয়ে যায় অনিবার্যভাবেই। সময়ের প্রয়োজনেই। এটা নিয়ে কোন দুঃখ করা সাজে না। কোন আক্ষেপ মানায় না। মানব জীবনেও ঋতুর তারতম্য ঘটে। সেই ঋতুর সুত্র ধরে ধরেই একেকটা বিবর্তন ঘটে যায়। কিছু বিবর্তনে মানুষ টিকে থাকে, কিছু বিবর্তনে হয় নিঃশেষ।
সময় বয়ে গেছে সেই বহুকাল আগে। তবু এখনো অবশিষ্ট রয়ে গেছে বাকতৃষ্ণা। আমাদের আনন্দ আছে বুকের গভীরে, তৃপ্তি আছে সুখের সাগরে। আমরা সেই আনন্দ সাগরে স্নান করি যখন খুশী। যতদিন আমাদের সুখের আয়ু, ততদিন এই স্রোত বহমান। এক হাসিতে সাত দিন, অধরা মানুষ ঘটনাবিহীন।
সময়েরও আগের কথা। সুবর্ণ রথে চড়ে একদিন ভেসে এসেছিল সুদিনের সংবাদ। যার আসার কথা নয়, তার একটু কথার সুর ফিরে তাকিয়েছিল।
..................................................
যাহা বলো তাহা
তবু তুমি আহাকিছু কথা ছিল বাকী, কিছু ব্যথা দিল ফাঁকি
কিছু হাসি চুপ করে ছিল লুকিয়ে
সেই চোখ, সেই নাক, সেই ওষ্ঠাধার
চেনা চুলের ভাঁজ
এখনো এখনো ঢেউ তোলে বয়ে যাওয়া ধান খেতে
রাখাল বাজায় বাঁশী, গরুর পাল লয়ে যায় ফিরে
গোধুলী বেলায় এসে শুনতে কী পাও?
....................
বিকেলবেলার বারান্দাটির কথা মনে পড়ে। এক ফালি সেই বারান্দায় কয়েকটি ফুলের টব। সেই টবে সবুজ লতানো গাছগুলো বেড়ে উঠতো, ফুলেরা হেসে উঠতো, পাতাবাহারের ঝোঁপ থেকে ভেসে আসতো মাটির গন্ধ। সেখানে ছিল একটি চেয়ার। একজন আসলে সোজা বারান্দায় চলে যেতো। সেই চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পর আরেকজন এসে বারান্দার দরোজায় দাঁড়াতো। তারপর গাছেদের মাঝখানে রেখে কথা বলতো সেই প্রিয়ংবদা। গাছের কথা, পাতার কথা, ফুলের কথা, ফলের কথা, কথার কথা চলতে চলতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো। ঘরে বাতি জ্বলে উঠলে ওরাও উঠতো। চায়ের টেবিলে আবারো বসা হতো। চা খেতে খেতে আরো কথা। শুধু কথার কথা। ছিল না কোন অর্থ। তবু সেই অন্য কথার মধ্যে কোন বার্তা আসা যাওয়া করতো কিনা সেটা অন্তর্যামী ছাড়া কারো জানার কথা না। সেই কথার কথা দিনগুলো ফুরিয়ে গেল একদিন। বন্ধ হলো আসা যাওয়া। পথের ধারে ছিল না কোন প্রতীক্ষা। গন্তব্য হয়ে গেল আলাদা পথে। একদিন.....অনেকদিন পর একদিন মহাশূন্যে নীহারিকার কক্ষপথে দেখা হয়ে গেল আবার। তখন আর বারান্দা নেই, ফুলের গাছ নেই, গাছের পাতা নেই, আছে দুই নীহারিকার দুই নক্ষত্র। তখন সব ভয় দূরে সরে গেছে। সব দ্বিধা পিছু হটেছে। তখন ওরা মহাবিশ্বের সাক্ষ্যে নিজেদের উন্মোচিত করে। কথাগুলো এবার অর্থপূর্ণ হয়। স্মৃতির বাগানে ছড়ানো বিচ্ছিন্ন অক্ষরগুলো জোড়া লাগে। বাক্যগুলো সুসংহত হয়। তারপর.....তারপর খুব দেরীতে হলেও একটি অনুপম কবিতার জন্ম হয়।
....................................................................................................................................
ওই হাসিটা কেবল প্রিয়তমার মুখেই মানায়: ওই একটি হাসিতে পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর প্রেম: আর কিছু পাওয়া না হলেও কোন ক্ষতি নেই জেনো: কেবল হাসিটি বেঁচে থাকুক অনন্ত স্মৃতিতে
.............................
সবই কথার কথা, তবু কথারা বেঁচে আছে, একদিন যেমন দমবন্ধ ঘরে আটকে ছিল, এখন তা খোলা হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়।
[দিন বদলের সাথে শব্দ বাক্য তাল লয় সব বদলে যায়]
সবই কথার কথা, তবু কথারা বেঁচে আছে, একদিন যেমন দমবন্ধ ঘরে আটকে ছিল, এখন তা খোলা হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়।
[দিন বদলের সাথে শব্দ বাক্য তাল লয় সব বদলে যায়]
No comments:
Post a Comment