কোনটা যে সৌভাগ্য আর কোনটা দুর্ভাগ্য সেটা মাঝে মাঝে গোলমাল পাকিয়ে যায়। আজকে যে লোকটা ভাবছে সে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগা, আগামীকাল হয়তো সেই লোকটাই নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবান হিসেবে দেখতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্তিনিক দ্বীপের বাসিন্দা লাজার সিলবারিস ছিল সেরকম বিরল ভাগ্যবান এক মানুষ। বিশ শতকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান লোক বলা হয় তাকে।
১৯০২ সালের ৭ মে তারিখেও ওই দ্বীপের সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ ছিল ২৬ বছর বয়সের সিলবারিস। ভয়ংকর সব অপরাধের কারণে তাকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল দ্বীপের সবচেয়ে দুর্ভেদ্য কারাগারের নির্জন এক গুহায়। পাহাড়ের গায়ে পাথরে নির্মিত ওই কারাগারে নিঃশ্বাস নেবার জন্য শুধু সামনের অংশে ছোট্ট ফোকর বাদে আর কোন দরোজা জানালা ছিল না। ওই কারাগার থেকে জীবনেও পালানো সম্ভব নয়।
কিন্তু তার ভাগ্যে লেখা ছিল অন্য কিছু। ১৯০২ সালের ৮ মে তারিখ সকালে ভয়ানক এক অগ্ন্যুৎপাতে মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ওই দ্বীপের ৩০ হাজার বাসিন্দার সমাধি হয়েছিল উত্তপ্ত লাভার নীচে। চারদিন পর ধ্বংসস্তুপ থেকে আধপোড়া অবস্থায় শুধু একজনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছিল। তার নাম লাজার সিলবারিস। দুর্ভেদ্য পাথরের কারাগারই তাঁকে রক্ষা করেছিল।
লাজার সিলবারিস পরবর্তী জীবনে আমেরিকার বিখ্যাত সার্কাস দল বার্নাম এণ্ড বেইলির সাথে যুক্ত হয়ে ছোটখাট সেলেব্রিটি হিসেবে জীবন পার করেছে। তার বিজ্ঞাপনে লেখা থাকতো the man who lived through doomsday.
No comments:
Post a Comment