কলম দিয়ে লেখালেখি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেকদিন ধরে। টুকটাক নোট নেয়া, খসড়া পরিকল্পনার ঘষামাজা কিংবা দুচার পাতা ডায়েরি বাদে আর কিছুতে কলমের ব্যবহার নেই আজকাল। অধিকাংশ মানুষেরই এই অবস্থা। তবু আমার কাছে কলমের মতো প্রিয় জিনিস খুব কমই আছে। লেখালেখি না হলেও আমি কলমের একটা ছোট বাক্স হাতের কাছেই রাখি। আমার গত চল্লিশ বছরের কয়েকটা প্রিয় কলম-পেন্সিল সেখানে মজুদ আছে। সবগুলোই জীবনের নানান পর্বে প্রিয়জনদের কাছ থেকে উপহার পাওয়া। যে কলমগুলো এখনো সচল আছে সেগুলোই এখানে রাখা। যার মধ্যে মেকানিক্যাল পেন্সিলটা সবচেয়ে পুরোনো। পেন্সিল বলেই সচল আছে এখনো।
লেখার কাজ না থাকলেও যে কোন একটি কলম হাতে রাখার পুরোনো অভ্যেস আমার। কী বোর্ডে কাজ করার সময়ও যে কোন একটা কলম আমার পাশে থাকা চাই। কলমের নিঃশব্দ একটা ভাষা আছে। যেটা হাতে নিলেই বলতে থাকে, সময় কম, লিখতে থাকো।
এছাড়া না লিখতে না লিখতে আমার অনেক দামী কলমের কালি শুকিয়ে গেছে, সেগুলো ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় তুলে রেখেছি। সেই কলমগুলো নিয়ে একটা আক্ষেপ থেকে গেছে। শেফার, পার্কার, ওয়াটারম্যান জাতীয় দামী দামী যে কলমগুলো স্কুল বয়সে উপহার পেয়েছিলাম বাবার কাছ থেকে, সেগুলো দিয়ে ঠিকমত একটা পাতাও লিখিনি, ফুরিয়ে যাবার ভয়ে। তখন বুঝিনি, না লিখে রেখে দিলেও যে কোন কলম এমনিতেই ফুরিয়ে যায়।
প্রতিটি কলমের আলাদা গল্প আছে। প্রতিটি কলমের একটা করে ইতিহাস আছে।
১. পাইলট লেড পেন্সিল- ১৯৮৫ সাল: বাবা এনেছিলেন বিদেশ থেকে।
২. কোকাকোলা: ২০১৮ সাল- প্রিয় বন্ধুর উপহার
৩. গ্রীস থেকে আগত: ২০২১- ছোট ভাইয়ের উপহার
৪. কোরিয়া ১৯৯৯: কলিগের উপহার
৫. পেন্সিলটা ফাও, ওটা বাড়ির শিশুর কাছ থেকে নেয়া