এক.
“বারান্দায় দাঁড়ালেই চোখের সামনে একটা বিশাল পুকুর। পুকুরপাড়ে বিশাল কয়েকটা বৃক্ষের সবুজ ছায়া। সোজা উত্তর দিকে খোলা দিগন্ত। দিগন্তের ওপর বিশাল খোলা আকাশের ক্যানভাস। দৃষ্টিসীমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জায়গা জুড়ে আকাশটা। এই টুকু দৃশ্যের মধ্যে যে সৌন্দর্য তার সবটুকুই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। দিনরাত ২৪ ঘন্টা উন্মুক্ত। যখন সময় থাকে বারান্দায় গিয়ে একটু দাঁড়ালেই হবে। ঢাকা চট্টগ্রামের মতো ঘিঞ্জি অট্টালিকার শহরে এমন দৃশ্য কতটা বিরল ব্যাপার সেটা আমরা সবাই জানি। এই দৃশ্যটার জন্য আমি গত ১৬ বছর বাসাটা বদলাইনি। অথচ প্রথমে ভাড়া নিয়েছিলাম মাত্র এক বছরের জন্য। প্রথমে যখন আসি তখন আকাশটা আরো বড় ছিল, দিগন্ত আরো উন্মুক্ত ছিল। দক্ষিণ পূর্বে তিনটা পাহাড় দেখা যেতো। সার্সন রোড থেকে ডিসি হিল, কোর্ট হিল সবটুকু খোলা ছিল। পশ্চিম দিকে সিআরবি-টাইগারপাসে পাহাড়শ্রেনী উন্মুক্ত ছিল। এখন পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বিশাল কিছু দালানকোঠা উঠে গেছে। শুধু মাঝখানের অংশটা খালি আছে। ওটাও থাকতো না যদি সামনের বিশাল জলাশয়টা না থাকতো। শহরের কেন্দ্রে বাস করেও চোখের সামনে এমন একটা জলাশয় দেখতে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। ওই আকাশটা, জলাশয়টা, সবুজ পাহাড়ের আংশিক দৃশ্যটা যদি না থাকতো তাহলে আমাদের জীবনটা অনেক দমবন্ধ হয়ে কাটতো”।