Thursday, March 7, 2013
কপিপেষ্ট কৌতুকঃ কুমীর
সমস্যা হল এর পর যে পরীক্ষাই আসুক সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কুমিরের রচনাই লেখে।
... যেমন একবার রচনা এলো বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য। তো সে লিখলো- বাবা মা আমাদের জন্ম দেয়। তারা আমাদের লালন পালন করে। কুমিররাও তাই করে। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজকাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ।
এরপরের পরীক্ষায় রচনা এলো আমার প্রিয় শিক্ষক। সে লিখল- আমার প্রিয় শিক্ষক এর নাম মোহাম্মদ আসাদ। তার চোখ গুলো গোলগোল। কুমিরেরও চোখ গোল গোল। জেনে রাখা ভালো যে কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ।
শিক্ষক দেখলেন এতো ভারী বিপদ। শেষে তিনি অনেক ভেবে চিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন পলাশীর যুদ্ধ। লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কি করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস।
তো ছাত্র লিখলো- ১৮৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাবসিরজুদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফর এর উপর ভরসা করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন।জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ!
.............................................
আজকে দেশের কিছু রাজনীতিবিদকে দেখে সেই ছেলেটার কথা মনে পড়ে যায়।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
শীত আসলে শহুরে মধ্যবিত্ত অন্ততঃ একবার পিকনিক/ভ্রমণ করে। কেউ একা, কেউ সপরিবারে। কেউ কক্সবাজার, কেউ রাঙ্গামাটি, কেউ বান্দরবান, কেউ বা সিলেট বা সেন্টমার্টিন। এটা না করলে মনের মধ্যে উশখুশ করে। আমিও প্রতিবছর নিয়ম মেনে সপরিবারে কোথাও না কোথাও যাই। আসলে কক্সবাজারেই যাওয়া হয় বেশী। যদিও পছন্দের দিকে পাহাড় আমাকে টানে বেশী। কিন্তু বাংলাদেশের পাহাড়ি শহরগুলোতে আবাসিক সংকট প্রবল। পিক সিজনে হোটেল পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে কক্সবাজার। যার কোথাও যাবার জায়গা নাই সেই যায় কক্সবাজার। প্রতিবার যাই বিরক্ত হয়েই, তবু ওশিন শিহানের আনন্দ দেখে বিরক্তি ফুরিয়ে যায়। ২০১২তে অনেক বেড়ানো হয়েছিল। ২০১৩তে এখনো কোথাও যাওয়া হয়নি না।
২.
শীতকালে গ্রামে মধ্যে একটা মজার পিকনিক চালু ছিল এককালে। চাটগাইয়া ভাষায় এটাকে বলে "খোয়াভাতি"। চট্টগ্রামের ভাষায় কুয়াশাকে বলো 'খোয়া'। কুয়াশাময় পরিবেশে এই পিকনিক হয় বলে এটাকে খোয়াভাতি বলা হয় সম্ভবতঃ। আমার শৈশব স্মৃতির মধ্যে এখনো যে স্মৃতির ঘ্রান অনুভব করি সেটা এই খোয়াভাতি। শীতকালে যখন ফসল উঠে যেত তখন ধূ ধূ প্রান্তর দিগন্ত জুড়ে। সেখানে ধান কেটে নেবার পর যে গোড়ালিটুকু বাকী থাকে সেটা শুকিয়ে খাড়া হয়ে দাড়িয়ে থাকে। সেই গোড়ালিকে বলে 'নাড়া'। যেখানে পিকনিক করা হবে সেই জায়গাটা সাধারণতঃ হয় এরকম ধূ ধূ প্রান্তরে। কিছু জায়গা থেকে নাড়া তুলে সমান করা হয়। তারপর সেই সমতল জায়গায় মাটি খুড়ে চুলা বানানো হয়। বাড়ি থেকে ডেকচি এনে বাচ্চাকাচ্চার দল রান্নার আয়োজন করে। সেই রান্না রাত ভর আনন্দ করে খাওয়া হয়। খোয়াভাতির নিয়মকানুন আছে কিছু। এখানে দোকান থেকে কোন জিনিস আসবে না। সবাই যার যার বাড়ি থেকে একেকজন একেকটা আইটেম আনবে। পাড়ার সবগুলো ঘরের ছেলেপেলের অংশগ্রহন থাকে এতে। কেউ আনে চাল, কেউ ডাল, কেউ মুরগী, কেউ ডিম, কেউ বা তেল নুন মশলা। এভাবে যোগাড় যন্ত্র করে নিজেদের মধ্যে যাকে সবচেয়ে যোগ্য মনে করা হয় সে রান্নার দায়িত্ব নেবে বাকীরা চারপাশ ঘিরে হৈ হৈ করে কাজ এগিয়ে দেবে। চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। জ্বালানীর প্রধান হলো জমি থেকে টেনে তোলা নাড়া। সেই নাড়ার রন্ধ্রে রন্ধ্রে কুয়াশা জমে থাকে বলে আগুনে নাড়া দেবার পর বিশাল ধোয়া উৎপন্ন করে। সেই ধোয়ার কেমন একটা মায়াবী ঘ্রান থাকে। সন্ধ্যার আধো আধারে যখন রান্না শুরু হয় তখন সেই গোধুলীর আলো, ধোয়া, কুয়াশা সব মিলিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো মুহূর্ত তৈরী হয়ে যায়। সবাই গোল হয়ে বসে থাকি রান্নার ঘ্রান বের হয় খানিক পর। পুরো বিল জুড়ে সেই ঘ্রান মৌ মৌ করে। আজ রাতে কেউ ঘরে খাবে না। এই রান্নার মধ্যে এমন কিছু আছে যা দুনিয়ার সব ভালো খাবারকে মুহুর্তে হারিয়ে দেয়। সাধারণত খিচুড়ি রান্না হয়। সাথে থাকতো ডিম মুরগি আলুর ঝোল। খানিক সালাদ, এটুকুই। রান্নার পর দেখা যেতো হয় ভাত নরম হয়েছে, নয়তো লবনে গরমিল, অথবা ঝালে ভরপুর। তবু কী আনন্দ সেই ভাত খেতে। থালায় ভরে নিয়ে উন্মুক্ত আকাশের নীচে আগুনের গনগনে আলোয় বসে রাতের অপূর্ব ডিনার। আমাদের সেই খোয়াভাতি। আমি এখনো বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে গেলে সেই ঘ্রানটা যেন পাই। মাঝে মাঝে গ্রামের পথে যাবার সময় কোন কোন গ্রাম থেকে সেই ঘ্রানটা এসে আবিষ্ট করে দেয় নস্টালজিয়ায়। আহ আবারো যদি খোয়াভাতির দিনগুলো ফিরে পাওয়া যেত। আমি জীবনের সবগুলো পিকনিকের চেয়ে খোয়াভাতির আনন্দটাকে বেশী মিস করি।
৩.
ভ্রমণের কথা বলতে গিয়ে খোয়াভাতির ভেতর ঢুকে গিয়েছিলাম। ফিরে আসি ঘোরাঘুরি কথনে।
আমার ঘোরাঘুরি দুই প্রকার। একটা পরিবার নিয়ে সুশীল ভ্রমন, আরেকটা বন্ধুদের সাথে হৈ হল্লা ভ্রমণ।
দ্বিতীয়টি আমাকে টানে বেশী, কিন্তু সুযোগ কমে গেছে আজকাল। কারণ দেশে আমার যেসব জায়গায় যেতে ইচ্ছে করে সেখানে মন মতো একটা ভ্রমণে হাতে কমসে কম পাঁচটা দিন থাকতে হবে। নইলে ঘুরন্তিসটা মনমতো হবে না। অথচ আমার ছুটিছাটা খুবই কম। দুই ঈদ বাদে বড় কোন ছুটি নেই। দুই ঈদ বাদ দিলে যেতে পারি, কিন্তু সামাজিকতার যন্ত্রনায় ঈদগুলো বাদ দেয়া যায় না। আমি তাই ঈদের ছুটিগুলোকে বলি নষ্ট ছুটি। একসময় ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে যেতে হতো। বেড়াতে নয়। অফিসের কাজ নিয়ে। অফিসের সাথে এটা নিয়ে অনেক ঝাড়াঝাড়ি আপত্তির পর ওটা বন্ধ করা গেছে। কিন্তু সামাজিক উৎসব পালন করা বাদ দিতে পারিনি। সময় চলে যাচ্ছে, জীবনের বাজেট কমে আসছে, অথচ না দেখা জায়গা রয়ে গেছে অগুনতি।
আন্দামান যাবার কথা ভাবছি সেই কবে থেকে, আন্দামানের উপর এন্তার পড়াশোনাও করলাম, কিভাবে কোন পথে গিয়ে কোথায় উঠতে হবে, কোন দ্বীপে যাওয়া যাবে, কোন দ্বীপে যাবে না সবকিছু জানলাম, কিন্তু বেরিয়ে পড়া হলো না এখনো। ম্যাপ দেখে মনে হবে আন্দামান চট্টগ্রাম থেকে নৌকা নিয়েও পৌঁছে যাওয়া যায়। কিন্তু সঠিক পথের দূরত্ব অনেক। অন্য জায়গার চেয়ে আন্দামান যাত্রার নিয়মকানুন একটু কঠিনই।
দক্ষিন প্রশান্ত মহাসাগরের মুরিয়া দ্বীপের উপর দিয়ে কতোবার ভার্চুয়াল ভ্রমণ করেছি ঠিক নেই। তাহিতির জমজ বলে পরিচিত ওই দ্বীপটার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম প্রথম দেখাতেই। ওই দ্বীপের একজনের সাথে দোস্তালিও পাতিয়েছিলাম যাবো বলে। ব্যাটা আমাকে তার বাড়িতে থাকার দাওয়াত দিয়েও রেখেছে, কিন্তু ওই ফরাসী মালিকানার দ্বীপে যাবার কোন রাস্তা বের করতে পারিনি এখনো। ভিসা ট্রানজিটের ঝক্কি অনেক।
ব্রাজিল আর্জেন্টিনা চিলি পেরু এই আমাজন এলাকার দেশগুলো আদিকাল থেকেই আমাকে টানছে। পেরুর এডা মেলিসার সাথে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। সে বলেছিল বন্ধু চলে আসো একদিন তোমারে আমাজন থেকে মাচ্চুপিচ্চু সব ঘুরিয়ে দেখাবো। সেই ডাক এখনো আছে, আমিই বেরুতে পারলাম না।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপের স্বপ্ন পুঁতে দিয়েছিল ব্রজমাধব ভট্টাচার্য তার ক্যারিবিয়ানের সূর্য বইটি দিয়ে। ভেবেছি যদি সুযোগ পাই জীবনের শেষ অংশটা সেরকম কোন একটা দ্বীপে কাটাবো। সেই থেকে স্বপ্ন দেখেই যাচ্ছি। সেই স্বপ্ন দেখার সময় ত্রিনিদাদের একজনের সাথে পরিচয় হলো এবং এমন ঘনিষ্ট বন্ধুতা হলো যে আমার পরিবারকে সহ সে তার দেশে নিয়ে রাখার আগ্রহ দেখাল। সে আমাকে সবগুলো ক্যারিবিয়ান দ্বীপ ঘুরে বেড়াবার প্রতিশ্রুতি দিল। কতো বছর ধরে যাচ্ছি যাচ্ছি করছি, কিন্তু সবকিছু গোছানো হয়নি বলে এখনো যাওয়া হলো না।
আরো আছে কেনিয়ার ওয়াইল্ড লাইফ সাফারির হাতছানি, তাসমানিয়ার বিরল বাঘের হুংকার, মাদাগাস্কারের আদিম জঙ্গল, ইরিয়ান জায়া প্রদেশের অচেনা পাহাড়, লাদাখের নিঃশ্বাস আটকে থাকা পর্বত আর তিব্বতের মানস সরোবরের হাতছানি।
এতো গেল বিশ্বের কথা। ঘর হইতেই তো দুই পা ফেলিয়া অনেক কিছু দেখা হয় নাই। দেশের মধ্যেই কতো জায়গা বাকী রয়ে গেছে। সুন্দরবন সিলেটের অরণ্য, বান্দরবানের নাফাখুম ঝর্না, একদম বাড়ির কাছের খরনা পাহাড়ের বিশাল অংশ এখনো অদেখা।
রাজনীতির তৃতীয় শক্তি
এবার বিএনপিও সম্ভবতঃ চায় আরেকটা তৃতীয় শক্তির উত্থান। গত ১/১১ ছিল মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের তৃতীয় শক্তি, বিএনপির ধারণা তারাই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বিজয়ে সহায়তা করেছে। তাই বিএনপি জোটের আশা যদি আওয়ামীলীগ নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে এবার বিপরীত ধারার একটা তৃতীয় শক্তির আগমন ঘটুক। তাতে তারা আবারো ক্ষমতার স্বাদ নিতে পারে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি ধারণার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সাধারন মানুষ মাত্রেই এই দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তির উপর বিরক্ত। এমনকি কিছু কিছু বিএনপি আওয়ামী সমর্থকেরাও চায় বিকল্প কোন একটা শক্তির হাতে ক্ষমতা চলে যাক। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য তেমন কোন শক্তিমান দল আমাদের নেই। তবে যারা তৃতীয় শক্তি হিসেবে জামাত বা এরশাদের মতো সামরিক লম্পটের কথা ভাবেন তারা হয় নির্বোধ অথবা মতলববাজ।
অনুমান করি- বাংলাদেশের কমপক্ষে ৮০% মানুষ কায়ক্লেশে মানুষের জীবন যাপন করেন। নিন্মমধ্যবিত্ত থেকে চরম দারিদ্রসীমার নীচে বাস করা মানুষ এর অন্তর্ভুক্ত। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া এদের হিসেবেই আনে না কেউ।
বাকী ২০% মানুষ শহুরে বা আধা শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, যারা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায়, মাথা ফাটায়। উজবুক ধনী থেকে পরম সহনশীল সুশীল বুদ্ধিজীবি পর্যন্ত সবাই এর অন্তর্ভুক্ত। এই অংশের সাথেই রাজনীতির লেনদেন, ক্ষমতার পালাবদলের নাট্যকারেরা এদেরকে দিয়েই মঞ্চ সাজায়। রাজনীতির কুশীলবরা সব এই অংশ থেকে উত্থিত। রাজনীতির প্রথম দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শক্তি নিয়ে যত মাথাব্যথা সব এই অংশেরই। দেশ রাজনীতি নিয়ে চিৎকার করার ক্ষমতাও আছে এই ২০ ভাগের। বাকী ৮০ ভাগ মানুষ কন্ঠহীন নীরব ভোটার। ওরা বিকল্প শক্তি বোঝে না, বিকল্প শক্তি ওদের খোঁজে না। ওরা যেন একই দেশের ভিন্ন নাগরিক। ওদের ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকে রাজনৈতিক সুবচনে। ওদের কল্যাণের অজুহাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য মুখিয়ে থাকে ক্ষমতালোভী অপশক্তি।
এ যাবতকালে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক শক্তি প্রতিনিধিত্ব করেছে ২০ ভাগ মানুষের। ফলে রাজনীতি ঘুরেফিরে একই পাঁকে আটকে আছে। আমরা গত ৩৮ বছরে কোন পরিবর্তনই দেখিনি রাষ্ট্র এবং জনগনের মধ্যেকার সম্পর্কে। স্বৈরাচার এরশাদ যে ভাষায় মানুষের সাথে কথা বলেছে, গণতান্ত্রিক খালেদা হাসিনাও সেভাবেই বলেছে। বিটিভিতে এরশাদ যা দেখিয়েছে গণতান্ত্রিক খালেদা-হাসিনাও তাই দেখিয়েছে। উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি শাসন পদ্ধতিতে, কিংবা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। পরিবর্তন প্রবৃদ্ধি যা হয়েছে তা গতানুগতিক হারেই হয়েছে। তবে যেটুকু পরিবর্তন দেখা গেছে তা সেই ২০ ভাগের স্বার্থ/শর্ত মেনেই হয়েছে। আগামীতেও তাই হবে।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা, আরো একটা বিকল্প শক্তি আসলেও বাংলাদেশের চেহারার কোন পরিবর্তন হবে না। যদি সত্যিকারের পরিবর্তন আসতেই হয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিকে ওই ৮০% মানুষের প্রতিনিধিকে ক্ষমতার অংশীদার করতে হবে। রাজনীতিতে সৎ মানুষ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতিই আনতে পারে সত্যিকারের গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশ বাস্তবতায় এটা কি সম্ভব?
একটা কথা সবার কাছেই পরিষ্কার থাকা উচিত। বাংলাদেশ নৈরাজ্যের দেশ হয়ে থাকলেও আমরা জামাতী ধারণার বিকল্প শক্তির উত্থান চাই না। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে খুব খারাপ, মানি, কিন্তু বাংলাদেশ এখনো পাকিস্তান বা আফগানিস্থানের চেয়ে অনেকগুন বেশী স্বস্তির দেশ। আফগানিস্তান-পাকিস্তানের কথা ভাবলে বাংলাদেশের বর্তমান 'খারাপ'কেও আমি ভালোবাসি।
সঞ্চয়ঃ খালেদার চিঠি টু washington times
Will 2013 be a watershed in U.S.-Bangladeshi relations? My country of 150 million people, located between India and Myanmar, has been independent since 1971, when the United States was one of the first nations to recognize our right to self-determination. Yet in the past year, relations have been strained to the point where the United States may be accused of standing idle while democracy in Bangladesh is undermined and its economic allegiance shifts toward other growing world powers.
This is not to say that the U.S. government, Congress or agencies they help lead have done nothing. Six months ago, the World Bank withdrew nearly $2 billion in funding for a four-mile bridge project, the largest single infrastructure project in Bangladesh for 40 years, and demanded an inquiry into ministerial corruption and misappropriation of funds.
At the same time, members of the U.S. congressional caucus on Bangladesh condemned the government — in particular Prime Minister Sheikh Hasina — for removing Nobel Peace Prize winner Muhammad Yunus from his post as managing director of Grameen Bank, Bangladesh's award-winning microfinance institution that has pulled millions out of poverty. The reason for his ouster? Attorney General Mahbubey Alam said the honor was presented to the wrong person: "If anybody in Bangladesh deserves the Nobel Peace Prize, it is Prime Minister Sheikh Hasina."
Most Bangladeshis would disagree that Ms. Hasina has any claim on the prize. Just ask the families of some 300 people who have been registered as missing since 2009 at the hands of Ms. Hasina's Rapid Action Battalion — a paramilitary wing of the police. Or consider the family of murdered workers' rights campaigner Aminul Islam, on whose behalf the AFL-CIO is campaigning to overturn U.S.-Bangladeshi trade preferences. Political leaders and their supporters who are being accused by a local war crimes tribunal of involvement in atrocities during the 1971 war of independence also would question Ms. Hasina's right to the Nobel Prize.
The U.S. ambassador for war crimes has condemned Ms. Hasina's government for trying only opponents of the regime. In December, the Economist published leaked emails and phone recordings revealing the complicity of the Hasina administration in these trials, and how they are abusing them to issue death sentences to Ms. Hasina's political opponents.
The simple fact is that over the past five years, Bangladesh has been moving rapidly away from being one of Asia's most vibrant democracies toward a single family taking over the levers of power. Now Ms. Hasina is attempting to remove from the constitution the need for a caretaker government — six months before the election. Indeed, she herself helped institute this rule, which calls for a nonpolitical government to take the reigns of power and oversee the electoral process unencumbered by political interference.
Having a caretaker government has been the insurance that elections are free and fair. If the voters decide to vote for a new government, then power must change hands. Despite millions joining in street protests against plans to ditch the caretaker government system before the general election this year, Ms. Hasina seems intent on pushing ahead, believing it will allow her to be re-elected despite popular opposition to her rule.
Bangladesh's neighbor Burma is emerging from exile with the visit of President Obama in the aftermath of his re-election. India continues its growth as the world's largest democracy. If Bangladesh succumbs to the rule of one family, it would be a major step backward for the region. Southeast Asia is now a region full of hope because of the freedoms America has helped foster. Under a caretaker government, the people of Bangladesh have the chance to express their will through the ballot box.
The United States and its allies, such as Great Britain, have the influence to insist that a caretaker government is instituted so the views of the voters are respected. To ensure this, their words and actions must be much stronger, to keep Bangladesh from slipping away from democracy. Congress and the British Parliament must continue to honor individuals such as Mr. Yunus for what he has achieved to alleviate poverty, while others such as Ms. Hasina have merely coveted recognition.
They also must explain to Ms. Hasina that general preferences for trade will be withdrawn if those who support workers' rights and have political views opposed to those of the prime minister are not now allowed to express their beliefs. The Western powers should consider targeted travel and other sanctions against those in the regime who undermine democracy, freedom of speech and human rights. They should say and do these things publicly, for all our citizens to see and hear. This is how the United States can ensure that its mission to democratize the world continues.
It was once said, "There is a higher court than courts of justice, and that is the court of conscience." It is impossible to say in good conscience that democracy, justice and the alleviation of poverty in Bangladesh under Ms. Hasina are safe. Indeed, all are in grave danger. It is time for the world, led by America, to act and ensure that democracy is saved in Bangladesh.
Begum Khaleda Zia is former prime minister of Bangladesh and current leader of the opposition.