"আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি একজন লেখকের পক্ষে মন দিয়ে লেখালেখি করা ছাড়া অন্য কোনও বিপ্লবী বাধ্যবাধকতা নেই। যে কোনও শাসনের অধীনে প্রথাবিরোধী অবস্থান লেখকের জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়। এটা এড়িয়ে থাকার কোনও উপায় নেই। কারণ যে কোনও আপোষকামী লেখককে ডাকাতের সাথে তুলনা করা যায় এবং সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে সে অবশ্যই একজন খারাপ লেখক।"
[লেখক হবার দুর্গতি- মার্কেজ]
Friday, January 3, 2025
Thursday, January 2, 2025
চায়ের বিজ্ঞাপন ১৯৪০
মধ্যবিত্ত বাঙালি চা খেতে শিখেছে চল্লিশ দশক থেকে। সেই চা খাওয়াতে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, কত লোভ দেখাতে হয়েছে তার অনেক ইতিহাস আছে। এখানে চায়ের বিজ্ঞাপনের সামান্য একটা নমুনা দিলাম। ১৯৪০ সালের একদিনের পত্রিকার পাঁচটা চায়ের বিজ্ঞাপন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিশাল বিজ্ঞাপন দিয়ে সরকার জনগণকে উৎসাহিত করছে এই উপভোগ্য ফসল থেকে মানুষ যেন বঞ্চিত না হয়। কিভাবে চা বানাতে হবে সেটাও শিখিয়ে দিচ্ছে বিজ্ঞাপনের পাতায়। চা নিয়ে হঠাৎ করে এমন উঠে পড়ে লাগার রহস্য কী?
আসলে ত্রিশ চল্লিশ দশকে দুনিয়াজোড়া মহামন্দা এবং মহালড়াইয়ের কারণে চা রপ্তানী বন্ধ হবার পথে। সাহেবদের পকেট খালি। গুদামে চায়ের বস্তা জমে আছে। তাই দেশের ভেতরে যে কোনো উপায়ে চা গেলাতে পারলে কিছুটা রক্ষা। যদিও তার একশো বছর আগ থেকে ভারতে চা উৎপাদন শুরু হয়েছিল, কিন্তু প্রায় সবই রপ্তানী হতো সারা দুনিয়াতে। তখন দেশীয় প্রজাদের কখনো চায়ের দাওয়াত দেয়নি ঔপনিবেশিক সরকার।
Subscribe to:
Posts (Atom)